ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রেমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পালাক্রমে এক কিশোরীকে (১৬) রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের মালীগ্রামের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই কিশোরীর মা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন- মালীগ্রামের যে বাড়িতে ঘটনা ঘটে, সে বাড়ির মালিক আসাদুজ্জামান মুন্সি (৬০)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার পাঁচকুল গ্রামের মেহেদী নামের এক যুবকের সঙ্গে ব্রাক্ষণপাড়া গ্রামের এক কিশোরীর মোবাইলে পরিচয় হয়। পরে পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে গত রোববার সকালে ওই কিশোরীকে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার কথা বলে মালীগ্রামের একটি মার্কেটে ডেকে নেয় মেহেদী।
সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সন্ধ্যার পর মেহেদীর পরিচিত মালীগ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান মুন্সির বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় ওই কিশোরীকে। পরে স্থানীয় কাইয়ুম শিকদার, জুয়েল মোল্লা, আসাদুজ্জামান মুন্সিসহ আরও অজ্ঞাত চারজন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে মেহেদী ওই কিশোরীকে পালাক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. জুয়েল হোসেন জানান, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হবে।