Breaking News

ভাঙ্গায় কিশোরীকে ধর্ষন করে হত্যার অভিযোগ তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম  কাজ করছে,

ভাঙ্গায় কিশোরীকে ধর্ষন করে হত্যার অভিযোগ তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম  কাজ করছে,

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিলেন ফরিদপুর পুলিশ সুপার

 

মোঃ রিপন শেখ ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ভাঙ্গায় বাড়ির সাথে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পুকুর সংলগ্ন পাটক্ষেতে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে হত্যার শিকার হয়।এক কিশোরী রেখা আক্তার(১৪)। ঘটনার তদন্তে কাজ করছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও পুলিশের একাধিক টিম । লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে কিশোরী রেখা আক্তারের মা মেরিনা আক্তার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত ব্যক্তি/ ব্যক্তিদের আসামী করে ভাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। শনিবার (২৯ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে  ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মামুন আল রশিদসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার লোকজন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে আসলে কিশোরীর মা মেরিনা আক্তার ও বাবা আব্দুল হাই মাতুব্বর কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা ন্যায় বিচারের জন্য দাবি করেন।

বাবা আব্দুল হাই মাতুব্বর বলেন,আমার মাকে  যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই ফাঁসি চাই । আমার মা নাবার  গেছে। তারে ধইরা নিয়ে পাটক্ষেতে মাইরা ফ্যালাইছে।

 

মা মেরিনা আক্তার বলেন, মেয়ে আমার গোসল করতে যায়। গোসল শেষে ভিজা কাপড় পুকুর পাড়েই পরিবর্তন করে। ভিজা কাপড় পুকুর ঘাটে সেভাবেই পড়ে ছিলো। আমার মেয়েকে খুন যারা করেছে তাদের শাস্তি চাই। এবং সঠিক বিচার চাই।

 

এলাকাবাসী সূত্রে  জানা যায়, গত বছর খানেক আগে রেখা আক্তার পার্শ্ববর্তী চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামের সাব্বির মাতুব্বর (১৮) নামক এক ছেলে  কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ছেলেটি ওই পরিবারের আত্মীয় হওয়ার পারিবারিকভাবে বিষয়টি গোপনভাবে মামলা না করে অর্থ বিনিময় করে মীমাংসা করে দেয় ।এলাকাবাসী আরো বলেন,আগে সঠিক বিচার যদি হতো তাহলে আজ মেয়েটির এমন মৃত্যু হতো না। এর এর সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তাদের গ্রেফতার করে বিচার করা হোক।

 

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদ বলেন, শুনেছি মেয়েটি বছর খানেক আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। বিষয়টি ওই সময় থানায় আসেনি। দুই পরিবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করেছিলো। ওই ছেলেও আমাদের সন্দেহের বাইরে নয়।এবং এর সাথে যারা জড়িত রয়েছে চিহ্নিত করে দ্রুত আটক করা হবে।

 

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বোঝা যায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সালোয়ার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত করছে। সন্দেহভাজন কেউ যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ডিবি পুলিশ তৎপর রয়েছে। আমরা দ্রুতই অপরাধী সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পারবো বলে আশা করি।

Check Also

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ভাঙ্গা উপজেলার উদ্যোগে ভাঙ্গায় আলেমসহ সাধারণ জনগণের যোগদান অনুষ্ঠান।

তারিখ, ২০ শে ডিসেম্বর, শুক্রবার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ভাঙ্গা উপজেলার উদ্যোগে ভাঙ্গা পৌরসভার ৫ নং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *