Breaking News

ভাঙ্গায় চাকরী দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ পিআইও সহকারীর এর বিরুদ্ধে। 

ভাঙ্গায় চাকরী দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ পিআইও সহকারীর এর বিরুদ্ধে।

ভাঙ্গা ফরিদপুর প্রতিনিধি-

 

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারী চাকরী দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পিআইও এর দুই সহকারীর এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাঙ্গা পৌর এলাকার হোগলাডাঙ্গী সদরদী গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আ-লীগের সাংগঠনিক মোঃ সোবহান মুন্সির দুইজন লোকের নিকট থেকে  চাকরী জন্য ৩০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক পিআইও কর্মকর্তা মানুস বসু তার দুই অফিস সহকারী সাদি ও রুবেল। চাকরি না দিয়ে তারা এক বছর ধরে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের পায়তারা করছেন। এঘটনায় সোবহান মুন্সি বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

টাকা আত্মসাৎ কারীরা হলেন,

ভাঙ্গা উপজেলা সাবেক প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) মানুস বসু, অফিস সহকারী প্রধান শেখ সাদী ও অফিস সহকারী রুবেল। বিভিন্ন দুর্নীতির দায়ে তাদের তিনজনকে ফরিদপুরের বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে।

 

সোবহান মুন্সির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, আমি ভাঙ্গা পিআইও অফিসে বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করি। পিআইও কর্মকর্তা মানস বসু সহ অফিসের সকলের সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে মানস বসু আমাকে প্রস্তাব দেয় যে, ঢাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অফিস সহকারী পদে দুইজন লোক নিয়োগ দিবে। আপনার কোন চাকরী প্রার্থী থাকলে চাকরি দিয়ে দিতে পারি। আমি তাহার প্রস্তাবে রাজি হই। আমার আপন ভাতিজা ছাব্বির হোসেন মুন্সি ও ভাই এমরান মুন্সির চাকরীর জন্য ভাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মানস বসু ও তার দুই সহযোগীকে অগ্রনী ব্যাংক, ভাঙ্গা শাখা হতে চেকের মাধ্যমে সাতাশ লাখ সত্তর হাজার ও নগদ দুই লাখ ত্রিশ হাজার পরিশোধ করি ।

এর ৩/৪ মাস পর মানস বসু আমাকে জানায় ভাই ঢাকার খবর ভাল না। বেশী টাকায় অন্য লোক নিয়োগ দিয়ে দিয়েছে। ভাই চিন্তা করবেন না আপনার টাকা দ্রুত ফেরত দিয়ে দিব। এভাবে সে গত এক বছর যাবত আমার ৩০ লাখ টাকা না দিয়ে ঘুরাইতে থাকে। আমি সহ আমার ২ প্রার্থী মানবেতর জীবন যাপন করছে। এরপর চলতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আমি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত-এ-খোদার নিকট ঘটনাটি খুলে বলি এবং এঘটনার বিচার দাবি করি। ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া টাকার প্রমান পত্র হাজির করি(ব্যাংক স্টেটমেন্ট)। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিআইও তার সহযোগীদের সোবহান মুন্সিকে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখন পিআইও শেখ সাদীকে দিয়ে ভাঙ্গা সাউথ ইষ্ট ব্যাংকের ৩টি চেকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকার চেক দেন। পরে আমি ব্যাংকে গিয়ে টাকা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ি।

বর্তমানে আমি টাকার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি।

 

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও

বর্তমানে বোয়ালমারীতে কর্মরত মানস বসু জানান, সোবহান মুন্সী সাথে আমার কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয় নাই। তবে গত জুলাই মাসে সোবহান মুন্সি আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমার অফিস সহকারি শেখ সাদী তার নিকট থেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়েছে। এই বিষয় কয়েকবার আমার অফিসে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে দরবার হয়েছে। সেখানে টাকা নেওয়ার কথা ছাদি স্বীকার করেছে এবং টাকা ফেরত দিয়ে দেবে বলে অঙ্গীকার করেছে।  এর চেয়ে আমি বেশি কিছু জানি না।

Check Also

ভাঙ্গায়  এক পরিবারের সর্বস্ব আগুনে পুড়ে ছাই

ভাঙ্গায়  এক পরিবারের সর্বস্ব আগুনে পুড়ে ছাই     ফরিদপুরেের ভাঙ্গা  উপজেলা আলগী ইউনিয়নের একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *