Breaking News

ভাঙ্গায় যুবকের রগকাটাসহ হামলার ঘটনায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার : সংবাদ সম্মেলন

ভাঙ্গা ( ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গা

উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী তারাইল গ্রামে এক যুবকের পায়ের রগ কর্তন এবং আরও ২ জনকে অপহরণের পর লোমহর্ষকভাবে হামলার ঘটনায় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ জড়িত ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ মে) সকালে হামলার ঘটনায় দ্রুত অভিযানে নামে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (৬ মে) বিকালে ভাঙ্গা থানা চত্বরে এ উপলক্ষে এক প্রেস বিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে পুলিয়া বাজারের জনৈক সজলের মিষ্টির দোকান থেকে ইমরান তালুকদার ও শাওন বেপারী নামের দুই যুবকেয়ের রগ কাটাসহ এলোপাতারি জখম করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ঐ ফিলিং ষ্টেশনটি ভাঙচুর করে। এরপর মোকলেছুর রহমান সুমনসহ তার সমর্থকেরা পালিয়ে যায়। শুক্রবার রাত ও শনিবার দুপুর পযর্ন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করে। এ সময় মোকলেছুর রহমান সুমন তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় পদ্মা টোলপ্লাজায় পুলিশ তাকে ঘেরাও করলে সে প্রাইভেটকার থেকে নেমে পদ্মা সেতুর রেলিং থেকে লাফিয়ে তার কাটা অতিক্রম করে পালিয়ে যায়। তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার-মোবাইলসহ কিছু জিনিসপত্র পুলিশ জব্দ করেছে। তাকে আটক করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) হেলাল উদ্দিন ভুইয়া জানান,পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি ও ওসি কর্মকর্তা জিয়ারুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামিদের আটক করি। আটকরা হলো লাবু মাতুব্বর, ফারুক হাওলাদার, আক্তার মাতুব্বর, ইকবাল শিকদার, ওহিদ মাতুব্বর, মোহাম্মদ হোসেন খান, ফরহাদ হোসেন। উল্লেখ্য যে,এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোখলেসুর রহমান সুমনের সমর্থক লাবু,জোনা মিয়া সহ ১০/১২ জন সংঘবদ্ধভাবে ইমরান তালুকদার, শাওন ব্যাপারী ও তিতাস নামে ৩ যুবককে অপহরণ করে একটি মাহেন্দ্র যোগে সুমনের পেট্রোল পাম্পের পিছনে মেহগনি বাগানে নিয়ে বেদম মারপিট ও পায়ের রগ কর্তন করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসামী ফারুকের বাসার খাটের নীচ থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ইমরানকে উদ্বার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে জড়িত ৭ আসামী এবং তল্লাশী চালিয়ে রাম দা,সরকি,ছোরা এবং তীর- ধনুক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েক জনকে আসামি করে ইমরানের ভাই ইকবাল তালুকদার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অন্যান্য আসামীতের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানান।

মো: সরোয়ার হোসেন

 

ভাঙ্গা, ফরিদপুর।

Check Also

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, সম্প্রীতি সমাবেশ।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, সম্প্রীতি সমাবেশ। মোঃ মামুন মুন্সী (বাত্রাসম্পাদক) ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জনপ্রতিনিধি তাং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *