ভাঙ্গায় পাট ক্ষেতে কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ
মোঃ রিপন শেখ (ভাঙ্গা ফরিদপুর প্রতিনিধি:)
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রেখা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ বাড়ি সংলগ্ন পাট ক্ষেতে পাওয়া গেছে।শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তার লাশ ভাঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের হোগলাডাঙ্গি সদরদি মহল্লার একটি পাট ক্ষেতে পাওয়া যায়। তার বাবার নাম আব্দুল হাই মাতুব্বর। তিন ভাই বোনের মধ্যে রেখা সবার বড় ছিল। আচার আচরণ ও স্বভাবে সে সহজ সরল ছিল বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি দুপুরে সাড়ে বারটার দিকে বাড়ি সংলগ্ন পাট ক্ষেতপাশে পুকুরে গোসল করতে যেয়ে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন সকল স্থান খুঁজেও তাকে আর পায়নি।
কিশোরীর চাচা টুকু মাতুব্বর বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে নিজের ধান ক্ষেত দেখতে একটি পাট ক্ষেতের ভেতর দিয়ে যাওয়ার পথে আমার ভাতিজি রেখা আক্তারের লাশ দেখতে পাই। সে তখন বিবস্ত্র ছিল। তার লাশের পাশে তার পোশাক পড়েছিল । সাথে সাথে বাড়ি এসে সবাইকে জানাই এ ঘটনার কথা জানাই এবং ভাঙ্গা থানায় খবর দেই।
কিশোরীর বাবা আব্দুল হাই মাতুব্বর কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার মেয়ে দুপুরে গোসল করতে বাড়ির সামনে পুকুরে যায়। এরপর সে ফিরে আসেনি। তাকে সব জায়গায় অনেক খোঁজা হয়েছে কোথাও তাকে পাইনি। পরে ওর চাচা টুকু মাতুব্বর আমাদেরকে বিকেল পাঁচটার দিকে জানায়, রেখার লাশ
পাট ক্ষেতের মধ্যে দেখা গেছে। আমার মেয়ে খুব সহজ-সরল ছিল। আমার মেয়ের এমন দুর্ভাগ্য আমি মেনে নিতে পারছি না। আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
নাম বলার ইচ্ছুক গোপন সূত্রে জানা যায়, বিগত আনুমানিক এক বছর আগে ঘটনা এই কিশোরী মেয়েকে জোর করে এলাকায় এক লম্পট ফুসকিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে এলাকা এ বিষয় জানাজানি হলে মাতুব্বাররা সালিশের মাধ্যমে ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকার দিয়ে মীমাংসা করে দেয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদ জানান, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা একটি মামলা নিব। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সিআইডি ক্রাইম সিন, ডিবি পুলিশ এবং ভাঙ্গা থানা পুলিশ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে।