ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতার হাত পা গুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামে ইট ভাটার মালিক ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মামুন শিকদার(৩৫)কে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত- পা গুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। সন্ত্রাসী কায়দায় তার দুই হাত, দুই পা ভেঙ্গে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী। বৃহস্পতিবার বিকেলে মামুন শিকদারের নিজস্ব ইটভাটা পুলিয়া নয়াকান্দা যাওয়ার সময় ধানক্ষেতের ভিতরে ধরে নিয়ে উপর্যুপরি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে হাত পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতাল পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ এবং ,প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের মামুন শিকদারের সাথে একই গ্রামের ফারুক তালুকদারের ইট ভাটা ও গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে দন্দ চলে আসছিল। মামুন শিকদারের পরিচালিত ইটের ভাটাটি কৌশলে ফারুক তালুকদার ২বছর আগে নিয়ে নেয়। এছাড়া মামুন শিকদার সহ তার কিছু লোকজন নিয়ে ফারুক তালুকদারের গ্রাম্য দল ত্যাগ করে মোতালেব মাতুব্বরের দলে যোগ দেয়।
পূর্ব শত্রুতা, গ্রাম্য দলা-দলি ও ইটভাটাকে কেন্দ্র করে মামুন শিকদারকে পরিকল্পিতভাবে একা পেয়ে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মামুন শিকদার আজিমনগর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রশিদ শেখ জানায, আমি মাছ বিক্রি করে যাইতেছি, হঠাৎ চিৎকার শুনে দেখি ৭/৮ জন লোক মামুনকে ধান ক্ষেতে নিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমি ওদের হাতে পায়ে ধরেছি কিন্তু মামুনকে রক্ষা করতে পারিনি।
আজিমনগর ইউনিয়নের প্রত্যক্ষদর্শী ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাবিব মিয়া জানান, চিৎকার শুনে দৌড়ে আসি। ৭/৮ জন ফারুক তালুকদারের লোক মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চলে যাচ্ছে এবং আরো ৭/৮ জন লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এসআই তাহসিনুর রহমান জানান, থানা থেকে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে চলে আসি এবং ঘটনার সত্যতা পাই। ঘটনাস্থল থেকে দুটি হাতুড়ি উদ্ধার করি। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। মামুনকে ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মোঃ সরোয়ার হোসেন
ভাঙ্গা, ফরিদপুর।
তাং ১০.১১.২৩