ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের গঙ্গাধরদী গ্রামে দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষ শাজাহান মাতব্বরের বাড়িসহ প্রায় ২৫টি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে লুটতরাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে দুই দফায় সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ শাজাহানের সঙ্গে দীর্ঘদিন আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় শাজাহান গ্রুপের লোকজন মতিয়ার গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারধর করে। এ নিয়ে রাতেই কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে শনিবার সকালে দু’দল সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ঢাল, সড়কি, কাতরা, টেঁটা, রামদা, ইটপাটকেল নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে প্রায় ঘণ্টাখানেক চলা এ সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ডাক্তার মামুন, শাজাহান মেম্বার, সৈয়দ আলম, টিটু, ওবাইদুরসহ ২০-২৫টি বাড়ি ও জনৈক জসিমের একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) হানিফ সরকার বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভোর থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। হতাহতের সংবাদ পেয়েছি এবং কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।