ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতাকে হয়রানি ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতাকে হয়রানি ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ। বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ – ঢাকা মহাসড়কের পৌরসভা সংলগ্ন উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনঅনুষ্টিত হয়। মানববন্ধনে দলীয় নেতা কর্মী ছাড়াও স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফাইজুর রহমান।এসময় তিনি বলেন গত ১৮ মার্চ উপজেলার বামন কান্দা গ্রামের লুৎফর মুন্সীর পুত্র সালমান ওরফে তুহিন মুন্সীকে অপহরনের নাটক সাজায় তার চাচাতো ভাই কিবরিয়া মুন্সী ও জাকারিয়া মুন্সী । পরের দিন ১৯ মার্চ পুলিশ প্রশাসন তাকে অক্ষত অবস্থায় যশোর থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর জানা যায় সে ঐদিন রাত ৭.৩০ মিনিটে গোল্ডেন লাইন পরিবহনে নিজে টিকিট কেটে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যায়। অথচ
এই ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘ ২৩ যাবত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, শ্রমিক নেতা, বর্তমান ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফাইজুর রহমানকে তার বাসা থেকে গত তারিখে ফরিদপুর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদ করে এবং ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসময় তিনি বলেন উক্ত গ্রামের জাকারিয়া মুন্সী, কিবরিয়া মুন্সী ও মিজান মুন্সী গংদের সহায়তায় একটি কুচক্রি মহল সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন কর সহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর পরিকল্পনা করছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। উক্ত মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন,উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সিএম শামীম,পৌর যুবলীগ সভাপতি জাকারিয়া মুন্সী,ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি লুৎফর রহমান, শ্রমিকলীগ সভাপতি জিতু মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল মুন্সী সহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।